মাগুরায় সেই আলোচিত শিশু আছিয়া খাতুনের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। সরকারের নিয়োগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে লড়বেন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার (অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদার সুবিধাদিপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত রোববার (২০ এপ্রিল) এ নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নিয়োগ আদেশে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৮ ডিসেম্বর ৭৪২ নম্বর স্মারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার (অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদার সুবিধাদিপ্রাপ্ত) হিসেবে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত করার আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার ৮ বছর বয়সি শিশু আছিয়া হত্যা, মামলা নম্বর-১৪, তারিখ : ০৮/০৩/২০২৫, ধারা : ৯(৪) (ক)/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী-২০২৩ চাঞ্চল্যকর ও অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সময়ে সময়ে প্রদত্ত মামলাসমূহ সরকারের পক্ষে বিচারিক আদালতে প্রসিকিউশনকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে সমাজী বলেন, সরকার ৮ বছর বয়সি শিশু আছিয়া হত্যা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তিনি মামলাটিতে আছিয়ার পরিবারকে সর্বোচ্চ ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বুধবার মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য আছে। তিনি শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল মগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম জাহিদ হাসান মামলার সব আসামিদের বিরুদ্ধেচার্জশিট গ্রহণ করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে মামলার ৪ আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিবের) ভাই রাতুল শেখকে খুন জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে